Your cart is currently empty!
চিটাগুড় কী এবং কিভাবে তৈরি হয়?

চিটাগুড় কী এবং কিভাবে তৈরি হয় তা আমাদের ভালো ভাবে জানা থাকা প্রয়োজন। কেননা গরুকে নানান নিয়মে চিটাগুড় খাওয়ানো হয়। এর পুষ্টি ও ভালো চিটাগুড় সম্পর্কে না জানা থাকলে আর্থিক লোকসান হতে পারে। আসুন এটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে নেয়।
VitaMolas 600 GM বোতল। ভিটামোলাস (ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ চিটাগুড়)। ১ কার্টুন ২0 পিচ।
ভিটামোলাস VitaMolas (ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ চিটাগুড়) গরুর রুমেন মাইক্রোফ্লোরার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং রুমেন এর PH বজায় রাখে, ফলে খাদ্য গ্রহণের পরিমান বৃদ্ধি পায়। এটি মাংস এবং দুধের উৎপাদনও বৃদ্ধি করে (প্রায় 12%) এবং অল্পবয়সী প্রাণীদের বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে। MRP: 135.00 Tk
চিটাগুড় কী?
চিনি শিল্পে আখ থেকে চিনি উৎপাদনের সময় যে বাইপ্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেটিই আসলে চিটাগুড়। এছাড়াও আখ থেকে গুড় তৈরির সময় রস থেকে যে গাদ বা উচ্ছিষ্ট গুড় পাওয়া যায় সেটিই মুলত চিটাগুড়। এটি অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়। যেমন- লালি, লালিগুড়, মাতগুড়, মোলাসেস, কালোগুড় ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য।
চিটাগুড়ের পুষ্টিগুণ
এর পুষ্টি ও উপকারিতা আদিকাল থেকে শিকৃত।
শুষ্ক পদার্থ ৭২.৩%
অপরিশোধিত প্রোটিন ৪.২%
অপরিশোধিত আঁশ ০
অপরিশোধিত চর্বি ১%
অ্যাস- ১০.৩%
এনডিএফ ০.২%
এডিএফ ০.১%
লিগনিন ০.১%
স্টার্চ ০%
মোট শর্করা ৪৫.৭%
গ্রোজ এনার্জি (Kcal) ২৫৭০ কিলোক্যালরি/কেজি
কিভাবে তৈরি হয়?
এবার জেনে নেয়া যাক এর তৈরির প্রক্রিয়া। এর সরাসরি কোনো তৈরি প্রক্রিয়া নেই। চিনিকলে যে প্রক্রিয়ায় চিনি তৈরি করা সেখান থেকে এটি উপজাত হিসাবে সংগ্রহ করা হয়।
আখ কেটে সংগ্রহ করা হয়। রস বের করার জন্য আখ গুঁড়ো করা হয়। রস ঘনীভূত করার জন্য ফুটানো হয়, যার ফলে চিনির স্ফটিক তৈরি হয়। একটি সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করে চিনির স্ফটিকগুলিকে তরল থেকে আলাদা করা হয়। অবশিষ্ট তরল, যা এখন গুড়, বিভিন্ন গ্রেড তৈরি করার জন্য আরও সিদ্ধ করা হয়, “চিটাগুড়” হল সবচেয়ে গাঢ় এবং সবচেয়ে ঘনীভূত রূপ যা একাধিক ফুটন্ত চক্রের ফলে তৈরি হয়।
গুণগত মান
লালিগুড়ের গুণগত মান, উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের আলাদা আলাদা মিলে মানে কিছুটা ভিন্ন হলেও সামগ্রিক ভাবে ভালো মানের চিটাগুড় উৎপন্ন হয়। দেশের বেসরকারী মিল গুলোতে যে মোলাসেস উৎপন্ন হয় সেগুলোর মান আর সরকারী মিলের মানও বেশ আলাদা হয়।
বর্তমান সময়ে ভারত থেকে এটি আমদানি করা হচ্ছে। বেনাপোল ও হিলি বন্দর দিয়ে প্রচুর চিটা গুড় আমদানি হচ্ছে। সে গুড়ের কোয়ালিটি আমাদের দেশের মত ভালো হয় না। এগুলোর দামও বেশ কম হয়।
দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এটি পায়কারী ও খুচরা কিনতে পাওয়া যায়।
এর ব্যবহার
গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে ও মিনারেলের চাহিদা মেটাতে আদি কাল থেকে চিটাগুর ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান সময়ে বানিজ্যিক ফিড মিল গুলো প্রচুর পরিমানে এই খাদ্য উপকরণ টি ক্রয় ও ব্যবহার করে ফলে সাধারণ বাজারে এটি খুব বেশি পাওয়া যায় না।
গবাদিপশুর খাদ্যে বিভিন্ন ভাবে ও সরাসরি খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়। সাইলেজ তৈরিতে, টিএমআর তৈরিতে, ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরিতে, ইউরিয় মোলাসেস মাল্টি নিউট্রিয়েন্ট ব্লক তৈরিতে, ইত্যাদি তৈরি করতে এই মোলাসেস ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা
চিটাগুড় গবাদিপশুর একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যা থেকে এনার্জি ও মিনারেল পাওয়া যায়।
Leave a Reply