Your cart is currently empty!
মুরগির ডিমের উপকারিতা, ডিমের পুষ্টি, দাম ও ক্ষতিকর দিক

মুরগির ডিমের উপকারিতা, যেমন ডিম খাওয়া শরীর ও সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। তবে অনেকেই ডিমের সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন না, তবে অন্যান্য প্রাকৃতিক খাদ্যের তুলনায় ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। কিন্তু আপনি যদি ভেবে থাকেন ডিমের পুষ্টিগুণ কেবল আপনার শরীরে প্রবেশ করবে, তা কিন্তু নয়।
রূপচর্চার অন্যতম উপাদান ও হল ডিম। এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে এনার্জি পাওয়ার জন্য সকালে একটা সিদ্ধ ডিম ই যথেষ্ট। মুরগির ডিমেরে বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত।
মুরগির ডিম কেনো খাবেন
মুরগির ডিমের উপকারিতার মধ্যে রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার ফলে অন্যান্য প্রাকৃতিক খাদ্যের তুলনায় অধিকতর কার্যকরী। স্বাভাবিক সাইজের একটি ডিম থেকে প্রায় ১৪৩ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়।
তাছাড়া কার্বোহাইড্রেট ০.৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট ৯.৫১ গ্রাম, ফসফরাস ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম ও জিঙ্ক ১.২৯ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। যা অন্যান্য প্রাকৃতিক খাদ্যের তুলনায় বেশি হওয়ায় ডিমের পুষ্টিগুণ অন্যান্যদের তুলনায় বেশি।
মুরগির ডিম খেলে কি কি উপকার হয়
পুষ্টিগুণ বিবেচনা করতে গিয়ে দেখা যায় দেশি মুরগির ডিমের মধ্যে যে পরিমাণ পুষ্টিগত উপাদান রয়েছে তা অন্যান্য ডিমের মধ্যে অনুপস্থিত। ফলে শরীরের যেকোন সমস্যার সমাধান করতে অন্যান্য ডিমের তুলনায় মুরগির ডিমের উপকারিতা আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে থাকে। যেমন
- ত্বকের সেলগুলো ঠিক রাখার জন্য ডিমের উপকারি তা অনেক বেশি।
- এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি যা আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে।
- দেহের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে, এতে আছে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে ও আকর্ষণীয় করে তুলে।
- এটি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে।
ডিম কিভাবে খেলে পুষ্টি বেশি পাওয়া যায়
অনেকের ডিম খাওয়ার অভ্যাস আছে। তবে কেউ সেদ্ধ ডিম, কেউ পোচ আবার কেউ ডিম ভাজি করে খান। এক এক জনের এক এক রকম পছন্দ। কিন্তু ডিম কোনোভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে তা আমরা অনেকেই জানি না। তেলে ভেজে ডিম খাওয়ার চেয়ে কড়াইয়ে তেল মাখিয়ে পোচ করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই তেলে ভেজে ডিম খাওয়ার চেয়ে সেদ্ধ ও পোচ করে খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।
কোন ডিমের উপকারিতা বেশি লালচে ডিম না সাদা ডিম
সাদা ডিম না কি লালচে কোনটা ভালো, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক বা মতের শেষ নেই। এমনিতেই ডিম প্রায় সব বাড়িতে প্রতি দিনই কম-বেশি প্রয়োজন পড়ে। অনেকেরই ভাবনা লাল ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি, কেউ বা ভাবেন সাদা ডিমে।

সাদা ডিম না কি লালচে কোনটা ভালো, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক বা মতের শেষ নেই। এমনিতেই ডিম প্রায় সব বাড়িতে প্রতি দিনই কম-বেশি প্রয়োজন পড়ে। অনেকেরই ভাবনা লাল ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি, কেউ বা ভাবেন সাদা ডিমে।
সাদা ডিম না কি লালচে কোনটা ভালো, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক বা মতের শেষ নেই। এমনিতেই ডিম প্রায় সব বাড়িতে প্রতি দিনই কম-বেশি প্রয়োজন পড়ে।
অনেকেরই ভাবনা লাল ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি, কেউ বা ভাবেন সাদা ডিমে। তার আগে জেনে নিন কেন রঙের ফারাক হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ডিম পাড়ে সাদা পালকের মুরগিরা। লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি।
সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা চালালেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিজ্ঞানের ভিজিটিং ফেলো ট্রো ভি বুই এক দৈনিকে জানিয়েছেন, এই দুই ধরনের ডিমে পুষ্টিগত ভাবে বিশেষ কোনো তফাত নেই। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-র মতে, একটি বড় (৫০ গ্রাম ওজনের) ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে ১.৫ গ্রাম মাত্র দ্রবণীয়)। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক।
মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
এ যুগে মাংস বা ডিম খাওয়াটা ঠিক কতটা নিরাপদ। এতে এখন প্রোটিনের মতো পুষ্টিগু অনেক কমে গেছে, এবং অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক আছে। অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের শরীরে দরকার ছাড়া গেলে তা ক্ষতিকর হতে পারে।মুরগির মাংস ও ডিম খাবার ফলে আমাদের শরীরে এমন কয়েকটা অদরকারি অ্যান্টিবায়োটিক ঢুকে পড়ছে যেগুলো দরকারি অ্যান্টিবায়োটিককে কাজ করতে দিচ্ছে না।
এই মুরগির মাংস ও ডিম মানুষের খাওয়ার জন্য। ফার্মের মুরগির মাংস ও ডিম থেকে যে পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে সেটা খুব ভয়ের। আর ওখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ফার্মের মুরগির মাংসের পরিমাণ ও ডিমের মাপ যাতে বাড়ানো যায় সে জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়।
ডিমের দাম
যেকোনো সময় ডিমের দাম কম বা বেশি হতে পারে। তবে বেশির ভাগ সময় ১ হালি ডিমের দাম ৪০ টাকা হয়ে থাকে।

জেলা ভিত্তিক ডিমের দাম
জেলা | ডিমের বাজার মূল্য |
১.গাজীপুর/মাওনা:- | লাল (বাদামী) ডিম=৭.২০, সাদা ডিম =৭.০০, ব্রয়লার মুরগী=১০০/কেজি, কালবার্ড লাল=১৫০/কেজি, কালবার্ড সাদা=১০০/কেজি, সোনালী মুরগী =১৭০/কেজি, প্যারেন্টস=১২০/কেজি টাকা। |
২. চট্টগ্রাম:- | লাল (বাদামী) ডিম=৭.৪০, ব্রয়লার মুরগী =১১০/কেজি, কালবার্ড লাল=১৭০/কেজি, সোনালী মুরগী =১৯৫/কেজি টাকা। |
৩. খুলনা: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.৪০, সাদা ডিম=৭.২০, ব্রয়লার মুরগী=৯৫/কেজি, কালবার্ড লাল=১৪৫/কেজি, কালবার্ড সাদা=১৪০/কেজি, সোনালী মুরগী =১৭৫/কেজি টাকা। |
৪. বরিশাল: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.০০, ব্রয়লার মুরগী=৯০/কেজি, কালবার্ড লাল=১৬০/কেজি, সোনালী মুরগী =১৬০/কেজি টাকা। |
৫. সিলেট: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.০০, ব্রয়লার মুরগী=১০০/কেজি, সোনালী মুরগী =১৭০/কেজি টাকা। রংপুর:- লাল (বাদামী) ডিম=৬.৯০ টাকা। কাজী(রংপুর): লাল (বাদামী) ডিম=৭.২৫ টাকা। |
৬. বগুড়া: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.৪০, ব্রয়লার মুরগী=৯৫/কেজি, সোনালী মুরগী=১৮০/কেজি টাকা। সিপি(বগুড়া): লাল (বাদামী) ডিম=৭.২০ টাকা। |
৭.টাংগাইল(কালিহাতি): | লাল (বাদামী) ডিম=৭.২০, ব্রয়লার মুরগী=১০৫/কেজি, কালবার্ড লাল=১৭৫/কেজি, সোনালী মুরগী =১৮২/কেজি টাকা। |
৮. কিশোরগঞ্জ: | নেই লাল (বাদামী) ডিম=৭.২০ টাকা। নরসিংদী: লাল (বাদামী) ডিম=৭.৩০, ব্রয়লার মুরগী=১০২/কেজি, কালবার্ড লাল=৩১৫/পিছ, সোনালী মুরগী =১৮০/কেজি টাকা। |
৯.ফরিদপুর: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.৫০, ব্রয়লার মুরগী =৯৫/কেজি টাকা। |
১০.কুমিল্লা: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.৪০, সাদা ডিম=৭.২০, ব্রয়লার মুরগী=১০৬/কেজি, কালবার্ড লাল=১৮৫/কেজি, সোনালী মুরগী=২০০/কেজি টাকা। |
১১.যশোর: | : লাল (বাদামী) ডিম=৭.৪০, ব্রয়লার মুরগী =৮৭/কেজি টাকা। পাবনা: লাল (বাদামী) ডিম=৭.০০, সাদা ডিম=৬.৮০, ব্রয়লার মুরগী=৯৭/কেজি, সোনালী মুরগী =১৭০/কেজি টাকা। |
১২.কক্সবাজার: | লাল (বাদামী) ডিম=৭.১০, সাদা ডিম=৬.৯০, ব্রয়লার মুরগী=১১০/কেজি, কালবার্ড লাল=২০০/কেজি, কালবার্ড সাদা=১৬০/কেজি, সোনালী মুরগী=২০০/কেজি টাকা। |
সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। মুরগির ডিমের উপকারিতা, ডিমের পুষ্টি, দাম ও ক্ষতিকর দিক, আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ মুরগির রোগ পরিচিতি ও চিকিৎসা পদ্ধতি, দেশি মুরগির ডিম উৎপাদন ক্ষমতা
Leave a Reply