Your cart is currently empty!
ফাউমি মুরগির ডিম উৎপাদন ক্ষমতা

ফাউমি মুরগির ডিম উৎপাদন ক্ষমতা খুবই ভালো। ফাউমি মুরগি লেয়ার মুরগির তুলনায় একটু দেরিতে ডিমে আসে। সাধারণত পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে। ফাউমি মুরগি দেরীতে ডিম পারা শুরু করে তবে, এরা দীর্ঘদিন একটানা ডিম পারে।

জাত পরিচিতি
প্রাচীন মিশরীয় মুরগির একটি জাত হলো ফাউমি। নামকরণ করা হয়েছে মিসরের ‘ফাইয়াম’ প্রদেশ থেকে। ফাইয়াম প্রদেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের জলাভূমি ও এর আশেপাশের কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড় ফাউমি মুরগির আদি নিবাস। মিশরীয়রা অনেক আগে থেকেই ফাউমি মুরগি পালন করে আসছে।
ফাউমি মুরগির বৈশিষ্ট বা চেনার উপায়
- ফাওমি মুরগি আকারে ছোট, বড় ঘনকালো চোখ এবং উচু লেজ বিশিষ্ট।
- এদের এগিয়ে থাকা বুক, ঘাড় ও সোজা উঁচু লেজের কারনে রোডরানার পাখির সাথে তুলনা করা হয়।
- এদের নীলভ কালো পা, লালচে কানের লতি ও মাথায় একক মাঝারি ঝুঁটি বিদ্যমান।
- এদের কানের লতির মধ্যে সাদা সাদা স্পট দেখা যায়।
- ফাওমি মুরগির ত্বক নীলাভ কালো।
- এদের গলা ও ঘাড় সিলভার-সাদা রঙের পালকে ও কালো কালো ছোপে সারা শরীর ঢাকা।
ফাউমি মুরগির ডিম
ফাওমি ডিম দেয়া মুরগি জাত হিসেবে বিবেচিত। এরা ছোট আকারের সাদা রঙের ডিম দেয়। সাধারনত এদের কুচে হওয়ার প্রবণতা কম। তবে বয়স দুই বা তিন বছর হলে ডিমে তা দেয়ার প্রবনতা দেখা দিতে পারে।
ফাওমি মুরগি অবিশ্বাস্যভাবে রোগ প্রতিরোধী। সহজেই এরা রোগে আক্রান্ত হয়না। ফাওমি মারেক্স এবং অন্যান্য অনেক অসুস্থতার জন্য স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরোধী বলে পরিচিত।
এদের ম্যাচুরিটি বেশ দ্রুতই আসে। মোরগগুলি অবিশ্বাস্যভাবে পাঁচ বা ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ডাক দেয় এবং মুরগি সাড়ে চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে ডিম দেয়া শুরু করে। গড়ে একটি মোরগ প্রায় ১.৮ কেজি ও একটি মুরগি ওজন প্রায় ১.৫ কেজি হয়। সিলভার পেন্সিল (Silver penciled) ফাওমি মুরগি সবচেয়ে পরিচিত এবং একমাত্র ফাউমির জাত।
ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়?
ফাউমি মুরগি বছরে প্রায় ২৫০-২৮০ ডিম দেয়। দেশীয় যেকোন জাতের মুরগীর তুলনায় ফাউমি মুরগি ভালো ডিম দেয়। ফাউমি মুরগির ডিমের আকার তুলনামুলক ছোট হয়।
আরো পড়ুন: সোনালি মুরগির ডিম উৎপাদন ক্ষমতা
Leave a Reply